Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কোদালিয়া ইউনিয়নের ইতিহাস

আনুমানিক ১৯৩৮ সালে বাগেরহাট মহকুমার অধীনে কোদালিয়া, জয়ডিহি, মুনিজিলা, , চাউলটুরী, সরসপুর, ব্রাহ্মনডাঙ্গা, পদ্মডাঙ্গা, ঝুটেশ্বরী, গোপালখালী, রাঙ্গামাটিয়া, কচুড়িয়া, আড়ুয়াডিহি গ্রাম নিয়ে কোদালিয়া ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে পঞ্চায়েত এবং পরবর্তীতে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। আনুমানিক ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে পঞ্চায়েত প্রথার মাধ্যমে প্রথম পঞ্চায়েত হন মোঃ ফাজেল মোল্লা তার পর মোঃ ছাবের মোল্লা। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষনা করা হয়।১৯৮৫ সালে হাজী আঃ রাজ্জাক মোল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোনীত হয় এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে ইউছুপ আলী ভূইয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন শেখ,দেলোয়পার হোসেন শেখ (পুনঃ নির্বাচিত), মোঃ আকাশ শেখ (ভারপ্রাপ্ত) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।  প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন  প্রশাসক কোদালিয়া ইউনিয়ন কোদালিয়া, জয়ডিহি, মুনিজিলা, , চাউলটুরী, সরসপুর, ব্রাহ্মনডাঙ্গা, পদ্মডাঙ্গা, ঝুটেশ্বরী, গোপালখালী, রাঙ্গামাটিয়া, কচুড়িয়া, আড়ুয়াডিহি গ্রাম নিয়ে কোদালিয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন গঠন করেন। বর্তমানে ১২টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই কোদালিয়া ইউনিয়ন।

 

           কোদালিয়া ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে। কোদালিয়া ইউনিয়ন এর অধিকাংশ গ্রামেই মুসলমানদের আধিপত্য ছিল। ফাজেল মোল্লা ছিলেন  গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তিনিই প্রথম কোদালিয়ৈা ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিল। অন্যটি হল, গ্রামের অধিকাংশ রোকই কৃষি কাজের উপর নির্ভর করত। তারা কৃষি কাজে কোদাল ব্যবহার করত। এই কোদালই তাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল বিধায় এ  ইউনিয়নের নামকরন করা হয় কোদালিয়া। তবে ঐ সময়ে নৌকাই ছিল কোদালিয়া ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ স্থাপনকারী বাহন। বর্তমানে প্রায় সকল যানবাহনের চলাচল দেখা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেকটা উন্নত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থার পাশাপাশি জীবন যাত্রার মানও উন্নত ও আধুনিকতর হয়েছে।